লক্ষণীয়ঃ
(ক) এখানে উল্লেখিত লক্ষণসমূহ শুধুমাত্র ডায়গনসিস (সমস্যার কারণ ও ধরণ নিরুপন) -এর জন্য।
(খ) আপনার কোনো সমস্যা না থাকলেও বেশ কয়েকটি লক্ষণ এমনিতেই মিলে যেতে পারে।
(গ) একই লক্ষণ একাধিক যায়গায় থাকতে পারে। সবগুলিই মার্ক/নোট করতে হবে।
বদ-নজর ও হিংসাঃ
(০১) হঠাৎ ইবাদত-বন্দেগীতে আগ্রহ কমে যাওয়া, অলসতা অনুভব।
(০২) চেহারায় ব্রণ ও লাল লাল দাগ।
(০৩) শরীরে নানা রকম চর্মরোগ লেগেই থাকা।
(০৪) শরীরে কোনো অসুখ/রোগ আছে কিন্তু মেডিকেল টেস্টে ধরা পড়ে না।
(০৫) শরীরে কোনো অসুখ আছে মেডিকেল টেস্টে ধরাও পড়ে কিন্তু চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে না।
(০৬) একের পর এক অসুখ লেগেই থাকা, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসায়ও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া।
(০৭) খাবারে অরুচি, পেট ফাঁপা ফাঁপা ভাব।
(০৮) দুর্বলতা, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, মাথা ঝিমঝিম, চেহারা মলিন।
(০৯) অতিরিক্ত চুল পড়া, ঔষধ শ্যাম্পুতে কাজ হতে চায় না।
(১০) পেটে প্রচুর গ্যাস, ঔষধে কাজ হতে চায় না।
(১১) শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা দৌড়ে বেড়ানো।
(১২) হঠাৎ কাজে-কর্মে কনফিডেন্স লেভেল কমে যাওয়া।
(১৩) অহেতুক বুক ধড়ফড় করা, অস্বস্তি লাগা।
(১৪) প্রায় সময়ই মনমরা মনমরা ভাব, মুড অফ থাকা।
(১৫) মেজাজ খিটখিটে, অল্পতেই বিরক্ত হয়ে যাওয়া।
(১৬) প্রচন্ড অলসতা, সারাক্ষণ শুধু ঘুমাতে ইচ্ছা করে।
(১৭) অহেতুক ভয় ভয় লাগা।
(১৮) শিশুর ক্রমাগত কান্নাকাটি, কিছুতেই থামছে না।
(১৯) শিশু খাবার বা বুকের দুধ খেতে চায় না।
(২০) কুরআন তিলাওয়াত শুনলে প্রচন্ড ঘুম আসা ও মাথা ঝিমঝিম করা।
(২১) সবকিছুতেই ক্রমাগত অবনতি। ব্যবসা, চাকরি, আয়-রোজগারে ঝামেলা লেগেই থাকে।
(২২) কোন কাজে দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও নানারকম বাধা-বিঘ্ন লেগেই থাকা।
(২৩) অকারণে বারবার বিয়ে ভেঙে যাওয়া।
(২৪) হঠাৎ করে কাজকর্ম বা পড়াশোনায় আগ্রহ কমে যাওয়া, ভালো না লাগা।
(২৫) শিশুরা ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠা, কান্নাকাটি করা (বারবার)।
(২৬) স্বপ্নে রাঙা চোখ দেখা, রাঙা চোখ-ওয়ালা কাউকে দেখা।
(২৭) স্বপ্নে নিজেকে মৃত দেখা, অন্য মৃত মানুষ দেখা।
(২৮) স্বপ্নে কেউ তাকিয়ে আছে এরকম দেখা।
(২৯) স্বপ্নে মানুষ বা কোন প্রাণীর ছায়া দেখা।
(৩০) ঠিকমতো ঘুম হয় না, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া। ইত্যাদি।
ওয়াসওয়াসাহ বা কুমন্ত্রণাঃ
(০১) অযু-গোসলের সময় এক অঙ্গ বারবার ধুতে থাকা, ঠিকভাবে ধোয়া হলো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
(০২) অযুতে কোনো অঙ্গ কতোবার ধোয়া হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
(০৩) নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে দ্বিধা-দন্দ্বে পড়ে যাওয়া।
(০৪) নামাজের বিভিন্ন আরকান (রুকু-সিজদাহ ইত্যাদি) সম্পর্কে সন্দেহ হওয়া (কতোবার হলো? ঠিকভাবে হলো কিনা? ইত্যাদি)।
(০৫) বারবার অযু ভেঙ্গে যাওয়ার সন্দেহ হওয়া (বিশেষ করে নামাজের মধ্যে)।
(০৬) বিভিন্ন প্রকার পাপ কাজের প্রতি ভেতর থেকে আগ্রহ/উস্কানি অনুভব করা।
(০৭) আল্লাহ ও রসূল (সাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর চিন্তা আসা, ঠেকানো যায় না এমন।
(০৮) ইসলামের বিভিন্ন হুকুম-আহকাম সম্পর্কে বারবার অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
(০৯) ইবাদত-বন্দেগীতে উদাসীনতা, কোনোভাবেই মন স্থির করতে না পারা।
(১০) নাটক, সিনেমা, গান, ভিডিও গেম, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদিতে প্রচণ্ড আসক্তি।
(১১) সর্বদা মাথার মধ্যে বাজে ও অশ্লীল চিন্তা ভাবনা ঘুরাঘুরি করা, এগুলো কোনোভাবেই দুর করা যায় না এমন।
(১২) গুরুত্বপূর্ণ ও মারাত্মক বিষয়কে গুরুত্বহীন/হাল্কা মনে হওয়া (স্রিয়াসনেস কমে যাওয়া)।
(১৩) অকারণে সর্বদা চিন্তিত থাকা। (বিভিন্ন অহেতুক চিন্তা মাথায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে)।
(১৪) উদাসীনতা, কোনো কিছুই ভালো লাগে না।
(১৫) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া, বারবার।
(১৬) পরনের কাপড়ের পবিত্রতা নিয়ে বারবার সন্দেহ হওয়া।
(১৭) শ্রদ্ধাভাজন কেউ সাথে থাকলে তার সাথে বেয়াদবি করার জন্য উস্কানি অনুভব করা। ইত্যাদি।
জ্বিনের আসরের লক্ষণসমূহঃ
(ক) জাগ্রত অবস্থায়ঃ
(০১) ইবাদত-বন্দেগীতে অনীহা। দিনদিন আল্লাহ বিমূখ হয়ে যাওয়া।
(০২) নামাজ পড়তে মনে চায় কিন্তু কেনো যেনো পড়তে পারে না।
(০৩) আযান শুনতে খারাপ/অস্বস্তি লাগে।
(০৪) কুরআন তিলাওয়াত শুনতে খারাপ/অস্বস্তি লাগে।
(০৫) নিজে কুরআন তিলাওয়াত করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়, খারাপ/অস্বস্তি লাগে।
(০৬) জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্নের মতো কিছু দেখতে পাওয়া।
(০৭) অদৃশ্য কারো আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
(০৮) কিছুতেই কোনো কাজে মন না বসা, মনোযোগ বিক্ষিপ্ত।
(০৯) সামান্যতেই রেগে যাওয়া। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।
(১০) অকারণে/তুচ্ছ কারণে কান্না আসা, কান্নাকাটি করা।
(১১) প্রচন্ড অলসতা, বিষন্নতা। হতাশা, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ভাব ও অস্থিরতা।
(১২) মনের মধ্যে আতঙ্ক ভাব (প্রায় সময়ই)।
(১৩) একা একা কারো সাথে কথা বলা।
(১৪) হঠাত করে অজ্ঞান/বেহুশ (সেন্সলেস) হয়ে যাওয়া।
(১৫) প্রচুর পরিমানে Hallucination হওয়া।
(১৬) Schizophronia-তে আক্রান্ত হওয়া।
(১৭) আত্মহত্যার প্রবণতা। তুচ্ছ কারণেও নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হয়।
(১৮) কেউ একজন ফলো করছে বা পিছন পিছন হাটছে, এরকম মনে হওয়া।
(১৯) মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
(২০) অস্বাভাবিক ঋতুস্রাব (কম/বেশি)।
(২১) শরীর সবসময় ভারী ভারী লাগা।
(২২) শরীরের কোথাও প্রচন্ড ব্যথা, কিন্তু টেস্টে কিছু ধরা পড়ে না।
(২৩) শরীরের কোথাও প্রচন্ড ব্যথা, টেস্টে ধরাও পড়ে, কিন্তু চিকিৎসায় ভালো হচ্ছে না।
(২৪) কোনো এক অঙ্গ বা পুরো শরীর প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া।
(২৫) হঠাৎ করে অকারণে দৃষ্টি শক্তি, শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়া।
(২৬) হঠাৎ করে প্রচন্ড স্বাসকষ্ট শুরু হওয়া (প্রায়ই)।
(২৭) বমি বমি ভাব হওয়া (প্রায়ই)।
(২৮) বারবার বমি হওয়া, ঔষধে তেমন কাজ না হওয়া।
(২৯) প্রায় সময়ই মাথা যন্ত্রণা, ঔষধে তেমন কাজ না হওয়া।
(৩০) স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সুস্থ (Medically Fit) হওয়া সত্বেও গর্ভধারণ (Conceive) না হওয়া।
(৩১) ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া।
(৩২) মৃগী রোগে আক্রান্ত হওয়া।
(৩৩) ভিন্নধর্ম বা ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রতি হঠাৎ করে আকর্ষণ আনুভব।
(৩৪) সামান্য কারণেই কারো সাথে দুর্ব্যবহার করা।
(৩৫) প্রচন্ড রকম গাল-মন্দ করতে শুরু করা (হঠাৎ করে, আগে এরূপ ছিল না)।
(৩৬) সামান্য বিষয় নিয়ে অন্যের গায়ে হাত তোলা।
(৩৭) অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত আচরণ।
(৩৮) আচরণ ও রুচিতে হঠাৎ করে অনেক পরিবর্তন।
(৩৯) সন্তান মায়ের দুধ খেতে না চাওয়া (কান্নাকাটি করে)।
(৪০) মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে না চাওয়া (খারাপ লাগে)।
(৪১) টয়লেট / বাথরুমে বিনা কারণে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা।
(৪২) হঠাৎ করে অন্য ভাষায় কথা বলতে শুরু করা, যে ভাষা সে জানতো না। ইত্যাদি।
(খ) ঘুমন্ত অবস্থায়ঃ
(০১) নিদ্রাহীনতা, ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া।
(০২) ভাসাভাসা ঘুম, গভীরভাবে ঘুমাতে না পারা।
(০৩) প্রায়ই ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা।
(০৪) স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠা।
(০৫) স্বপ্নে সাপ, কুকুর, বিড়াল, বাঘ, সিংহ বা অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী দেখা।
(০৬) স্বপ্নে উল্লেখিত কোনো হিংস্র প্রাণী আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা।
(০৭) ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরে – এরকম অনুভূতি।
(০৮) ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরে, ঘুম থেকে উঠেও গায়ে ব্যাথা থাকে।
(০৯) স্বপ্নে বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা (বিশাল লম্বা, খুবই খাটো, প্রচন্ড কালো বা সাদা ইত্যাদি)।
(১০) স্বপ্নে কোনো গোরস্থান, পরিত্যাক্ত বা নির্জন যায়গা বারবার দেখা।
(১১) স্বপ্নে উল্লেখিত নির্জন যায়গায় নিজেকে বারবার দেখা।
(১২) ঘুমের মধ্যে কথাবার্তা বলা, চিৎকার করা, হাসা, কান্না করা।
(১৩) ঘুমের মধ্যে গোঙানো (প্রায়ই)।
(১৪) ঘুমের মধ্যে উঠে হাটাহাটি করা, দৌড় দেয়া।
(১৫) ঘুমন্ত অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া।
(১৬) স্বপ্নে নিজেকে পানিতে নামতে দেখা, সাঁতার কাটতে দেখা।
(১৭) স্বপ্নে নিজেকে উচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
(১৮) স্বপ্নে নিজেকে আকাশে উড়তে দেখা।
(১৯) স্বপ্নে নিজেকে পানি পথে (নৌযানে) ভ্রমণ করতে দেখা।
(২০) যথেষ্ট বয়স হওয়া স্বত্বেও ছেলে-মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাব করা (স্বপ্ন দেখে)।
(২১) অনেক বিপদ-আপদ আগে থেকেই স্বপ্নে দেখে ফেলা। ইত্যাদি।
(গ) আশিক (লাভার) জ্বিনঃ
(০১) প্রচুর স্বপ্নদোষ হওয়া (Wet dream)।
(০২) প্রচুর শাররীক সম্পর্কের স্বপ্ন দেখা (Dry Dream)।
(০৩) মেয়েদের প্রচুর সাদাস্রাব (Leucorrhoea) হওয়া।
(০৪) ছেলেদের প্রায়সময়ই মজি (সাদা আঠালো পানি) বের হতে থাকা।
(০৫) মেয়েদের প্রিয়ডের সময় তলপেট জুড়ে প্রচন্ড ব্যথা।
(০৬) ঘুম থেকে উঠলে সারা গায়ে ব্যাথা থাকা।
(০৭) বিয়ের আলোচনায় চেহারা বদলে যাওয়া (ব্রণ ওঠা, কালো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি)।
(০৮) গোপন রোগ-ব্যাধি ও শাররীক সমস্যা বেশি হওয়া।
(০৯) শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে গলায়, বুকের উপরের অংশে লাল লাল দাগ, নখের আচরের দাগ।
(১০) ঘুম থেকে উঠে লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব করা।
(১১) বিছানায় শুইতে গেলেই হঠাৎ যৌন উত্তেজনা তৈরী হওয়া, বেড়ে যাওয়া।
(১২) বিবাহের প্রতি আগ্রহ অনুভব না করা, আগ্রহ হারিয়ে যাওয়া।
(১৩) (বিয়ের পরে) স্বামী/স্ত্রীর সাথে শাররীক সম্পর্কে অনীহা, বিরক্তি।
(১৪) একা থাকতে ভালো লাগে।
(১৫) সর্বদা মনমরা মনমরা ভাব।
(১৬) প্রায় সবকিছুতেই অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ।
(১৭) প্রায় সময়ই মাথায় অশ্লীল চিন্তা-ভাবনা ঘোরাঘুরি করা, নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
(১৮) অস্বাভাবিক যৌনাচারের প্রতি ঝোঁক/আগ্রহ অনুভব (যেমনঃ সমকাম, পশুকাম, শিশুকাম, মাহরাম কারো সাথে যৌন মিলনের প্রতি আগ্রহ অনুভব ইত্যাদি)।
(১৯) প্রচন্ডভাবে হস্তমৈথুন (Musterbasion or Fingering)-এর প্রতি ঝোক, কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এমন (ছেলে-মেয়ে উভয়ই)।
(২০) বিবাহের কথায় অজানা কারণে ভেতর থেকে কান্না আসে, বিষন্ন লাগে।
(২১) বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি ঘৃণা, অনাগ্রহ, দেখতে না পারা, অসহ্য লাগা।
(২২) (বিবাহিতরা) পরকীয়ার প্রতি অনিয়ন্ত্রিত ঝোক অনুভব।
(২৩) কোনো অজানা কারণে বিবাহ আটকে যায়, ভেঙ্গে যায়, আলোচনা শুরু হয়ে আর আগায় না।
(২৪) একেবারে বিবাহের কোনো প্রস্তাবই আসে না।
(২৫) (মেয়েরা) স্বপ্নে নিজের বাচ্চা হয়েছে -এরকম দেখা।
(২৬) স্বপ্নে নিজেকে ছোটো বাচ্চাদের সাথে খেলা করতে দেখা।
(২৭) স্বপ্নে নিজের বিয়ে হচ্ছে -এরকম দেখা।
(২৮) স্বপ্নে অন্য কারো বিয়ে হচ্ছে -এরকম দেখা।
(২৯) স্বপ্নে নিজেকে মেহেদী লাগাতে দেখা। ইত্যাদি।
যাদুর কমন লক্ষণসমূহঃ
(০১) ঘাড়ে, পিঠের উপরের অংশে ব্যথা।
(০২) মেরুদন্ডের নিচের দিকে ব্যথা।
(০৩) প্রায় সময়ই শরীরে জ্বরজ্বর ভাব থাকা।
(০৪) চোখের অবস্থার অস্বাভাবিকতা।
(০৫) পেটে বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে।
(০৬) ঋতুস্রাবের অস্বাভাবিকতা (কম/বেশি, প্রচন্ড যন্ত্রণা ইত্যাদি)।
(০৭) পুরুষদের প্রস্রাবে সমস্যা (Infection)।
(০৮) তীব্র মাথা যন্ত্রণা, ঔষধে তেমন কাজ হয় না।
(০৯) শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা।
(১০) রুচি ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, সর্বদা পেট ভরাভরা অনুভব।
(১১) প্রায় সময়ই বমিবমি ভাব।
(১২) প্রচন্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
(১৩) পেটে কোনো সমস্যা/অসুখ আছে, টেস্টে ধরা পড়ে না।
(১৪) স্বামী/স্ত্রী/পরিবার/সমাজের প্রতি প্রচন্ড বিতৃষ্ণা/বিরক্তি অনুভব।
(১৫) বিকেলে/সন্ধ্যার দিকে প্রচন্ড বিষন্নতা, মেজাজ খারাপ থাকা।
(১৬) মাথা সবসময় ভারী হয়ে থাকা।
(১৭) মাথায় প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব।
(১৮) প্রচন্ডভাবে ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
(১৯) ইবাদত বন্দেগীতে প্রচন্ড অনীহা, অস্বস্তি।
(২০) ইবাদত বন্দেগীতে সমস্যার বৃদ্ধি।
(২১) কোনো রোগ দীর্ঘ্য-চিকিতসায়ও ভালো না হওয়া।
(২২) শরীরে (ঘামে) পোড়া-পোড়া গন্ধ।
(২৩) ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া।
(২৪) ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা।
(২৫) স্বপ্নে কোনো কিছু খাওয়া।
(২৬) স্বপ্নে কোনো কিছুতে ধাওয়া করা (হিংস্র প্রাণী ইত্যাদি)।
(২৭) স্বপ্নে গোরস্থান বা কোনো নির্জন স্থানে নিজেকে বারবার দেখা।
(২৮) স্বপ্নে নিজেকে পুকুর, খাল, নদী, সমুদ্র ইত্যাদিতে নামতে দেখা। ইত্যাদি।
যাদুর ধরন অনুযায়ী লক্ষণসমূহঃ
বিচ্ছেদের যাদুঃ
(০১) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না।
(০২) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া।
(০৩) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া।
(০৪) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
(০৫) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।
(০৬) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া, খারাপ লাগা।
(০৭) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা।
(০৮) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি।
আসক্তকারী যাদুঃ
(০১) হঠাৎ কারো প্রতি অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়া।
(০২) স্বামী/স্ত্রীকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাওয়া।
(০৩) সহবাসের জন্য অধৈর্য্য হয়ে যাওয়া।
(০৪) হঠাৎ কারো প্রতি তীব্র টান অনুভব করা (অযৌক্তিকভাবে)।
(০৫) নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির কথা সর্বদা মনের মধ্যে চলতে থাকা। ইত্যাদি।
বিয়ে ভাঙ্গা/বন্ধ করার যাদুঃ
(০১) বিয়ের আলোচনা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।
(০২) সকল পাত্র/প্রস্তাবদাতাকেই খারাপ লাগা।
(০৩) কোনো প্রস্তাবই মনমতো না হওয়া।
(০৪) সকল পাত্র/পাত্রীকে অহেতুক সন্দেহ হওয়া।
(০৫) কোনো কারণ ছাড়াই বিয়েতে আগ্রহহীন হওয়া।
(০৬) একেবারে বিবাহের কোনো প্রস্তাবই না আসা। ইত্যাদি।
অসুস্থ/হত্যা করার যাদুঃ
(০১) প্রচন্ড অসুস্থ অথচ টেস্টে সমস্যা ধরা পড়ছে না বা চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।
(০২) প্রচন্ড অরুচি, কিছু খেতে ইচ্ছে করে না।
(০৩) দিন দিন প্রচন্ড স্বাস্থ্যহানি ঘটা।
(০৪) মাঝে মাঝে শরীর ঝাকুনি বা খিচুনী দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাওয়া।
(০৫) পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল বা অকেজো হয়ে যাওয়া।
(০৬) শরীরের কোনো অঙ্গে সর্বদা ব্যথা থাকা।
(০৭) পুরো শরীর অসাড়/নিশ্চল হয়ে যাওয়া (প্যারালাইজড)।
(০৮) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।
মস্তিষ্কবিকৃতি বা পড়ালেখা নষ্ট করার যাদুঃ
(০১) পড়ালেখায় হঠাৎ করে অবনতি।
(০২) স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিকভাবে লোপ পাওয়া।
(০৩) কথাবার্তা, কাজকর্মে ভুলভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া।
(০৪) প্রচন্ডভাবে ওয়াসওয়াসা অনুভব।
(০৫) পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।
(০৬) পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উদাসীন হওয়া।
(০৭) ছেড়া ও ময়লা কাপড় পরতে ইচ্ছে হওয়া।
(০৮) একস্থানে বেশিক্ষণ স্থির থাকতে না পারা।
(০৯) কোনো কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা।
(১০) জাগ্রত অবস্থায় “কেউ যেন ডাকছে” -এরকম মনে হওয়া।
(১১) অকারণে হুটহাট বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, যেতে ইচ্ছে করা।
(১২) মাঝে মাঝে পাগলের মতো আচরণ করা। ইত্যাদি।
সন্তান না হওয়ার যাদুঃ
(০১) বারবার Conceive (গর্ভধারণ) হওয়ার পর Miscarriage (গর্ভপাত) হয়ে যাওয়া।
(০২) মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা।
(০৩) মানসিক অশান্তি। বিশেষ করে বিকেল থেকে।
(০৪) সহজেই সব কিছু ভুলে যাওয়া।
(০৫) বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি ভারি অনুভূত হওয়া। ইত্যাদি।
সহবাসে অক্ষম করার যাদুঃ
(০১) সহবাস শুরুর আগেই হঠাৎ করে আগ্রহ/অনুভূতি হারিয়ে ফেলা।
(০২) অন্য সময় স্বাভাবিক থাকলেও মিলনের ঠিক আগ মুহুর্তে লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়া।
(০৩) স্ত্রী থেকে দুরে থাকা অবস্থায় নিজেকে সক্ষম মনে হলেও স্ত্রীর নিকট গেলেই নিস্তেজ/অক্ষম হয়ে পড়া।
(০৪) শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া (ফিট) সত্বেও মিলনে হঠাৎ করে অক্ষম হয়ে পড়া।
(০৫) (স্ত্রীদের জন্য) স্বামী কাছে আসলে অস্বস্তি লাগা।
(০৬) সহবাস শুরু করতেই হঠাৎ করে অনুভূতি হারিয়ে ফেলা।
(০৭) বিছানায় আসলেই অজ্ঞানের মতো ঘুমিয়ে যাওয়া (স্বামী/স্ত্রী অথবা উভয়ই)।
(০৮) সহবাস করলেও যৌনসূখ বা স্বাধ অনুভব না হওয়া। ইত্যাদি।।
=======================
স্বীকারোক্তিঃ উল্লেখিত লক্ষণসমূহ একেবারে চূড়ান্ত নয়। কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা অথবা বিজ্ঞান দ্বারা চূড়ান্তভাবে প্রমাণিতও নয়। এগুলো অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ, যা আরো গবেষণা ও পর্যালোচনার সুযোগ রাখে।
রুকইয়াহ এন্ড হিজামা সার্ভিস খুলনা
সেন্টারের ঠিকানাঃ
খানজাহান আলী রোড, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার বিপরীতে,
খুলনা সদর, খুলনা।
যোগাযোগ ও এপয়েন্টমেন্টঃ
+8801757266226